কানাডায় উচ্চ শিক্ষায় যে বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন

প্রতিকী ছবি
উচ্চ শিক্ষার জন্য বাংলাদেশী ছেলেমেয়েদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় দেশ হচ্ছে কানাডা। এক্ষেত্রে কানাডার পর অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকা বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের কাছে স্বপ্নের দেশ হিসাবে গণ্য করা হলেও বাংলাদেশ সহ গোটা বিশ্বের বিশেষত যারা পড়াশোনা শেষে নিদিষ্ট একটা দেশে অভিবাসী হতে চায় তাদের জন্য কানাডা হচ্ছে এক অপার সম্ভাবনা।
আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষা, পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ ছাড়াও পড়াশোনা শেষে স্বল্প সময়ের মধ্যে অভিবাসী হবার সুযোগ ছাড়াও আরও নানাবিধ সুযোগ-সুবিধার জন্য উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডার রয়েছে বিরাট চাহিদা। চীন, ভারত, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া সহ বিশ্বের সকল প্রান্তের শিক্ষার্থীদের কাছে কানাডা হচ্ছে এক অপার সম্ভাবনা। সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকার অভিবাসী বিরোধী সরকারের নানা প্রতিবন্ধকতামূলক কর্মসূচী উচ্চ শিক্ষার জন্য বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ তালিকায় কানাডার অবস্থানকে আরও সুসংহত করেছে।
খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ:
কানাডায় শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ। সপ্তাহে একজন শিক্ষার্থী ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। শিক্ষক সহকারী, বিক্রয়কর্মী, ফুড ক্যাটারিং, গবেষণা সহকারী, কম্পিউটার কাজসহ বিভিন্ন খণ্ডকালীন কাজ শিক্ষার্থীরা করতে পারেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে পড়াশোনা শেষে ৩ বছরের ওয়ার্ক ভিসা।
ডিগ্রির ধরন ও ভর্তির সেশন:
পিএইচডি, মাস্টার্স, স্নাতক এবং ডিপ্লোমা ডিগ্রি।
অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়েই সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকে মে পর্যন্ত সেশন থাকে। এ ছাড়া জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, এপ্রিল ও জুনেও কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশন শুরু হয়।
যে সকল বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে:
Accounting, Architecture, Business, Economics, Engineering, English, Information Technology, Law, Media & Journalism, Pharmacy, Public Health, Social Science এছাড়াও আরো অনেক বিষয়।
কানাডায় কি বৃত্তি পাওয়া যায়?
কানাডায় পড়তে যেতে আগ্রহীদের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শিক্ষা বৃত্তি দেয়। শিক্ষার্থীর একাডেমিক ফলের ওপর ভিত্তি করে বৃত্তি দেওয়া হয়ে থাকে। তবে যারা শুরু থেকেই বৃত্তি নিয়ে যেতে চান, তাদের ক্ষেত্রে টোফেল, আইইএলটিএস, জিআরই, জিম্যাট প্রভৃতি স্কোর ভালো থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য কানাডা সরকার আন্তর্জাতিক স্কলারশিপ প্রোগ্রাম নামে একটি বৃত্তি দেয়। এ ছাড়া কানাডা মিলেনিয়াম স্কলারশিপ ফাউন্ডেশন, ওন্টারিও গ্র্যাজুয়েট বৃত্তি প্রোগ্রামসহ নানা ধরনের বৃত্তির প্রোগ্রাম চালু আছে।
ভাষা: কানাডায় পড়াশোনা করতে ইংরেজির বিকল্প নেই।
সংস্কৃতি: এখানে বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন সংস্কৃতির শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে আসে। ভিন্ন সংস্কৃতিতে মানিয়ে চলার মানসিকতা থাকা জরুরি।
ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা কি কি?
শিক্ষাগত যোগ্যতা:
আন্ডারগ্র্যাজুয়েট বা স্নাতক পর্যায়ে ভর্তির জন্য কমপক্ষে ১২ বছরের শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে। মাস্টার্স বা গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রির জন্য লাগবে কমপক্ষে ১৬ বছরের শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে ৪ বছরের স্নাতক ডিগ্রী করা যে কেউ মাস্টার্সে আবেদন করার যোগ্যতা অর্জন করবে যদিও টপ কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে অনেক ক্ষেত্রে আউটস্ট্যান্ডিং একাডেমীক যোগ্যতা ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রীর প্রয়োজন হতে পারে।
টোফেল বা আইইএলটিএস স্কোর:
ইংরেজি ভাষার প্রতিষ্ঠানগুলো ভাষাগত যোগ্যতা হিসেবে টোফেল বা আইইএলটিএস স্কোর বাধ্যতামূলক হলেও ক্ষেত্র বিশেষে (শীর্ষ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির ক্ষেত্রে) জিম্যাট ও জিআরই বাধ্যতামূলক। অবশ্য টোফেল বা আইইএলটিএস স্কোর না থাকলেও প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই শিক্ষার্থী কনডিশনাল একসেপ্টেন্স লেটার বা ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন, তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে মূল কোর্স শুরুর পূর্বে ইংরেজি ভাষার ওপর দক্ষতা অর্জনের জন্য ইএসএল ESL (English Second Language) মৌলিক কোর্স করতে হবে। সমস্যা হচ্ছে, বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে টোয়েফল বা আইইএলটিএস স্কোর না থাকলে কনডিশনাল একসেপ্টেন্স লেটার সহ ইএসএল (ESL) কোর্সের ক্ষেত্রে ভিসা পাওয়া অনেক ক্ষেত্রেই অসম্ভব। তবে, এ কথা তাদের জন্য প্রযোজ্য নয়, যাদের বাবা-মা’র ব্যাংকে রয়েছে ট্যাক্স পরিশোধ্য অর্থ।
শিক্ষা সংক্রান্ত খবরাখবর নিয়মিত পেতে রেজিস্ট্রেশন করুন অথবা Log In করুন।
Account Benefitটিউশন ফি কেমন?
কানাডার সব বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি একই রকম হয় না। অঞ্চল ও পড়ানোর প্রোগ্রামভেদে টিউশন ফিও ভিন্ন ভিন্ন হয়। স্থানীয় শিক্ষার্থীদের তুলনায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর টিউশন ফি বেশি হয়। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের জন্য খরচ পড়বে ১২ থেকে ২০ হাজার কানাডিয়ান ডলার।
শিক্ষার মাধ্যম কি কি?
কানাডায় উচ্চশিক্ষার জন্য ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ—এ দুটো ভাষার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থীরা প্রধানত উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে হিসাবে ইংরেজিতে পড়াশোনা করতে যায় এবং পড়াশোনার মাধ্যমে হিসাবে ফ্রেঞ্চকে বেছে নেয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা একেবারে নগণ্য। অবশ্য একজন ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থী ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ- এ দুটোর যেকোনো একটি ভাষা পড়তে পারবেন, বিশেষত আফ্রিকান অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার মাধ্যম হিসাবে ফ্রেঞ্চকে বেছে নেন।
হোস্টেল এবং আবাসন ব্যবস্থা:
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের প্রথম ছয় মাস বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে থাকতে হয়। পরে তারা ইচ্ছা করলে ক্যাম্পাসের বাইরেও থাকতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হবে।
ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা:
বাংলাদেশে থেকে কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া কানাডায় এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রেডিট ট্রান্সফার করা যায়। গ্র্যাজুয়েট ও আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পর্যায়েই মূলত ক্রেডিট ট্রান্সফার হয়। তবে ক্রেডিট ট্রান্সফার কত শতাংশ পর্যন্ত করা যাবে, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শর্তারোপ করে।
কিসের ভিত্তিতে ভিসা অফিস এই আবেদন অনুমোদন করে?
শিক্ষার্থীর আর্থিক অবস্থা অবশ্যই ভাল থাকতে হবে এবং পাশাপাশি এখানে লেখাপড়া শেষ করে সে যে দেশে ফেরত যাবে কাগজে পত্রে তারও একটা পরিকল্পনা বা নিশ্চয়তা থাকতে হবে। তবে মোদ্দা কথা হচ্ছে, যারাই এখানে লেখাপড়ার জন্যে আসেন তারা যে আর দেশে ফিরে যেতে চাননা তাদের মূল টার্গেটই হচ্ছে কানাডার ইমিগ্রেশন প্রাপ্তি-সে বিষয়ে নতুন করে আর বলার কিছু নেই। তবে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্টদের জন্যে ওয়ার্ক পারমিট প্রাপ্তির সুযোগ আছে। কানাডায় চাকরির জন্যে যে ‘কানাডিয়ান এক্সপেরিয়েন্সির কথা বলা হয়-তার এ মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব। এবং চাকরি প্রাপ্তির মাধ্যমে তারা ‘পারমানেন্ট রেসিডেন্সির’ও সুযোগ পেতে পারেন। এই কর্মসূচির নাম হচ্ছে ‘কানাডিয়ান এক্সপেরিয়েন্স ক্লাশ। তবে এই কর্মসূচিতে সাফল্য অর্জন খুব সহজ নয়। এই কর্মসূচিতে যারাই আবেদন করবেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভাষায় দক্ষ এবং দক্ষ শ্রমিক কিংবা সফল পেশাজীবীদের মধ্য থেকে প্রার্থী বাছাই করবেন। এক্ষেত্রে ‘ন্যাশনাল অকুপেশনাল ক্লাসিফিকেশনে’র কোড কড়াকড়িভাবে অনুসরণের বিধান রয়েছে। তবে এই কর্মসূচির আইন কিংবা নীতি (পলিসি) এখনো নতুন বিধায় ইমিগ্রেশন আইনজীবীদের পরামর্শ গ্রহন করলে তা প্রার্থীর জন্যে ইতিবাচক ফল বয়ে আনার জন্যে সহায়ক হতে পারে।
কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে উচ্চ শিক্ষার বিস্তারিত তথ্য জানতে ও বিদেশে উচ্চ শিক্ষায় যেকোনো নির্দেশনা পেতে যোগাযোগ করুন প্রায়র সলিউশনস লিমিটেডে। ফোন: ০১৯০৬৮১৮২৮২ বা ০৯৬৬৬-৯১১৫২৮ নম্বরে। অথবা সরাসরি আমাদের অফিসে চলে আসুন। আমাদের অফিসের ঠিকানা: ০৫, প্রবাল হাউজিং, রিং রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা। এছাড়া অ্যাসেসমেন্টের জন্য ক্লিক করুন এই লিংকে...
- মাস্টার্স শেষ পর্ব পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ
- এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট কোর্স- ইংলিশ, চাইনিজ, আরবি, ফ্রেঞ্চ
- বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল-বিজ্ঞপ্তি
- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর
- খুবির ৬ষ্ঠ সমাবর্তন ২২ ডিসেম্বর
- জবির সমাবর্তন ১১ জানুয়ারি
- জবিতে শূন্য আসনে ভর্তির সাক্ষাৎকার শুরু ২০ ডিসেম্বর
- রাবিতে আন্তর্জাতিক ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু বৃহস্পতিবার
- অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু ১৩ জানুয়ারি; মাস্টার্স রিলিজ স্লিপ আবেদন শুরু ১৯ ডিসেম্বর
- ডিজিটাল মেলা-২০২০ উপলক্ষে টেলিকমিউনিকেশন দফতরের রচনা প্রতিযোগিতা
- ঢাকা পলিটেকনিকে জানুয়ারি-জুন’২০ সেশনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি শুরু
- জেএসসি-পিইসির ফল বছরের শেষ দিন
- ৪০তম বিসিএস: লিখিত পরীক্ষা ৪-৮ জানুয়ারি
- তিতুমীর কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের নিবন্ধন শেষ আজ
Submit Your Comments: