উদ্ভাবনীতে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষিণ কোরিয়ার কাইস্ট

কাইস্টের ক্যাম্পাস
উদ্ভাবনী বিশ্ববিদ্যালয়ের দিক থেকে এশিয়ার মধ্যে পরপর দ্বিতীয়বারের মত সেরার স্থান দখল করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার কাইস্ট। এশিয়ার মধ্যে কর্তৃত্বও বজায় রেখেছে দেশটি। এটি সম্ভব হয়েছে শিল্পোদ্যোগের সাথে কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘনিষ্ঠ অবস্থানের কারণে। দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যও গবেষণাভিত্তিক শক্তিশালী শিক্ষাব্যবস্থাকে মূল কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি রয়টার্স এশিয়ার সবচেয়ে উদ্ভাবনী ৭৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা তৈরি করেছে। এই তালিকায় শিক্ষা ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার সাম্প্রতিক সাফল্যের বিষয়টি উঠে এসেছে।
শীর্ষ ৭৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে হংকংসহ চীন তালিকায় এক নম্বরে থাকলেও জনসংখ্যা বিবেচনায় দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থান কিন্তু এক নম্বরে। মাত্র পাঁচ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার এই দেশের ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বমানের গবেষণার জন্য তালিকায় স্থান পেয়েছে। অন্যদিকে চীনের জনসংখ্যা এখন ১৩৭ কোটিরও বেশি।
ভারত জনসংখ্যায় দ্বিতীয় বৃহত্তম হলেও মাত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয় “ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলোজি” শীর্ষ ৭৫ এর তালিকায় জায়গা পেয়েছে। তবে বিশাল জনসংখ্যা থাকলেও ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় রয়টার্সের এই তালিকায় জায়গা পায়নি।
এই তালিকায় জাপানের ১৯টি, অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি, সিঙ্গাপুরের দুটি ও নিউজিল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
উদ্ভাবনী বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় শীর্ষ জায়গা দখল করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার গবেষণাভিত্তিক সবচেয়ে পুরনো বিশ্ববিদ্যালয় কাইস্ট (KAIST)। কোরিয়ায় দেজন, সিউল ও বুসানে তিনটি ক্যাম্পাস রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কৃতিত্ব তার গবেষণায়। এখানকার গবেষকরা যে পরিমাণ পেটেন্ট পেয়েছেন তা তালিকার অন্য যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বেশি। আর এ কারণেই সেরা উদ্ভাবনী বিশ্ববিদ্যালয়ের খেতাব পেয়েছে কাইস্ট।
কোরিয়া অ্যাডভান্সড ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (কাইস্ট) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে দ. কোরিয়ার প্রথম গবেষণাধর্মী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। কোরিয়ার গবেষণার শহর বলে খ্যাত দেজনে ১৯৭১ সালে কোরিয়া সরকারের উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু। ২০১৩ সালের হিসেব অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১০ হাজার ২০০ জন নিয়মিত ছাত্রছাত্রী ও ১ হাজার ১৪০ জন গবেষক শিক্ষক রয়েছেন।
কাইস্টে স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তি:
কাইস্ট ২০১৭ ফল সেশনে স্নাতক শ্রেণীতে ভর্তি কার্যক্রম ডিসেম্বরে শুরু হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ক্যাটাগরিতে ৩১ আগস্ট ২০১৭-এর মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশুনা সম্পন্ন করবেন এমন যে কেউ ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।
• সকল সময় দক্ষিণ কোরিয়ার স্থানীয় সময় অনুযায়ী প্রদত্ত এবং কোনরূপ পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই পরিবর্তন হতে পারে।
• উল্লেখিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র যথাযথ কর্তৃপক্ষের হাতে পৌঁছাতে হবে।
• সাক্ষাৎকার সকল নির্বাচিত প্রার্থীর জন্য প্রযোজ্য নয়। সাক্ষাৎকার আবশ্যক হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর সাথে যোগাযোগ করা হবে।
শিক্ষা সংক্রান্ত খবরাখবর নিয়মিত পেতে রেজিস্ট্রেশন করুন অথবা Log In করুন।
Account Benefitআবেদন ফি:
আবেদন ফি ৮০ মার্কিন ডলার বা ৮০ হাজার কোরিয়ান উওন। ফি ক্রেডিট কার্ড বা ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে। ব্যাংক চার্জসহ যে কোন অতিরিক্ত ফি প্রার্থী কর্তৃক পরিশোধিত হতে হবে। এই অর্থ অফেরতযোগ্য এবং জমা দেয়ার পর আবেদনপত্রে কোনরূপ সংশোধন গ্রহণযোগ্য হবে না।
বৃত্তি ও যোগ্যতা: ভর্তির জন্য আবেদনকারী যে কোন বিদেশী শিক্ষার্থী
বৃত্তির অন্তর্ভুক্ত বিষয়াদি:
– সম্পূর্ণ টিউশন ফিঃ নির্ধারিত ৮ সেমিস্টারের মধ্যে স্নাতক সম্পন্ন করতে হবে।
– থাকাখাওয়ার খরচ বাবদ মাসিক ২ থেকে সাড়ে ৩ লক্ষ কোরিয়ান উওন।
– চিকিৎসা খরচ
বৃত্তির জন্য শর্ত:
কেএআইসএসটির ৪.৩ জিপিএ মানদণ্ডে ন্যূনতম ২.৭ ধরে রাখতে হবে।
কোরিয়ার সরকারি বৃত্তি (কেজিএসপি):
– সম্পূর্ণ টিউশন ফি: নির্ধারিত ৮ সেমিস্টারের মধ্যে স্নাতক সম্পন্ন করতে হবে
– থাকাখাওয়া বাবদ ৮ লক্ষ কোরিয়ান উওন
– বিমানভাড়া: ইকোনমি ক্লাসে একবার আসাযাওয়া
– কোরিয়ান ভাষার কোর্স ফিঃ এক বছর ( কেজিএসপি নিয়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে কোরিয়ান ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক এবং এক বছরের মধ্যে টপিকে ন্যূনতম ৩ গ্রেড অর্জনে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী স্নাতক শ্রেণীর জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।)
অনান্য: চিকিৎসা বীমা, থাকাখাওয়ার খরচ ও প্রত্যাবর্তন ফি
* কোরিয়ার সরকারী বৃত্তি নিয়ে আবেদনের সময় প্রতিবছর অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ। সময় কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।
কাইস্টে আবেদনের আগে যা জানা প্রয়োজন
– কাইস্ট কোরিয়ার একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে শতভাগ কোর্স ইংরেজিতে করানো হয়। আবেদনের ক্ষেত্রে আইইএলটিএস স্কোর কমপক্ষে সাড়ে ছয় থাকা জরুরী। ইংরেজিতে ভাল না হলে কাইস্টে পড়াশোনা করা অনেক কষ্টকর।
– কাইস্টে ভর্তি হওয়া মানে টিউশন ফি পুরোটায় ফ্রি। তবে থাকা খাওয়া খরচ বাবদ ২ থেকে ৩ লাখ উওন দিবে যা কোরিয়ায় থাকা খাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত নাও হতে পারে।
কাইস্টে এ ভর্তি সংক্রান্ত আরও তথ্যের জন্য: http://admission.kaist.ac.kr/international
কোরিয়ার সরকারি বা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সময় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের কোরিয়ায় পড়াশুনার জন্য বৃত্তি প্রদান করে থাকে। এই বৃত্তি সম্পর্কে সব ধরনের আপডেট পেতে এখানে ভিজিট করুন।
- মাস্টার্স শেষ পর্ব পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ
- এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট কোর্স- ইংলিশ, চাইনিজ, আরবি, ফ্রেঞ্চ
- বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল-বিজ্ঞপ্তি
- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর
- খুবির ৬ষ্ঠ সমাবর্তন ২২ ডিসেম্বর
- জবির সমাবর্তন ১১ জানুয়ারি
- জবিতে শূন্য আসনে ভর্তির সাক্ষাৎকার শুরু ২০ ডিসেম্বর
- রাবিতে আন্তর্জাতিক ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু বৃহস্পতিবার
- অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু ১৩ জানুয়ারি; মাস্টার্স রিলিজ স্লিপ আবেদন শুরু ১৯ ডিসেম্বর
- ডিজিটাল মেলা-২০২০ উপলক্ষে টেলিকমিউনিকেশন দফতরের রচনা প্রতিযোগিতা
- ঢাকা পলিটেকনিকে জানুয়ারি-জুন’২০ সেশনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি শুরু
- জেএসসি-পিইসির ফল বছরের শেষ দিন
- ৪০তম বিসিএস: লিখিত পরীক্ষা ৪-৮ জানুয়ারি
- তিতুমীর কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের নিবন্ধন শেষ আজ
Submit Your Comments: