ইউক্রেনে উচ্চশিক্ষা

উক্রেইনে উচ্চশিক্ষা
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে এটা প্রমাণ হয়েছে যে, মানসম্পন্ন শিক্ষার বিকল্প নেই। তাই বহিঃবিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশ ও এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে গত কয়েক বৎসরের পাবলিক পরীক্ষার পাশের হার তারই জলন্ত প্রমাণ। একথা ঠিক, যে পরিমান পাশ করছে সেই পরিমান শিক্ষার্থী ভাল বিষয় নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছে না।
অনেকে প্রথম বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারলে দ্বিতীয় বছর ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ নেয়, এতে করে কেউ কেউ ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ পায়, কেউ কেউ পায় না। যারা ভর্তি হতে পারে না তাদের শিক্ষার মূল সময়টা খুবই হতাশার মাঝে কাটে, ফলে কারো কারো শিক্ষা জীবন হয় বিপর্যস্ত, একটি প্রানবন্ত প্রানের মাঝে হটাৎ যেন ছন্দপতন ঘটে। এই অবস্থায় কেউ কেউ মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে, কেউ কেউ অবশ্য বিরুপ দশাকেই ভাগ্য হিসেবে মেনে নেয় আর যারা খুবই সচেতন তারা একটু চেষ্টা করলেই ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন-এর এসোসিয়েট সদস্য দেশ ইউক্রেনে যেতে পারেন।
আন্তর্জাতিক শিক্ষার মান সত্ত্বেও ইউক্রেন এ খরচ খুবই কম, পাঁচ থেকে ছয় বছর থেকে যেতে পারলে স্থায়ীভাবে বসবাস করার সুযোগ ও সৃষ্টি হতে পারে। ইউক্রেনে অবস্থিত ছাত্ররা ২য় বছরে উঠে টিউশন ফিস প্রদান এর পর ইউরোপ এর অন্যান্য দেশে ভিজিটে যেতে পারে। প্রতি বৎসর জুন থেকে আগস্ট এই ৩ মাস বিশ্ববিদ্যালয় সামারকালীন বন্ধ থাকে।
ইউক্রেনে অবস্থিত খারকিভ শহর ইউরোপের আন্তর্জাতিক ছাত্রদের জন্য ৪র্থতম শহর। শুধুমাত্র এই খারকিভ শহরেই রয়েছে ৪৫ টি বিশ্ববিদ্যালয় যা ১০০ থেকে ২০০ বছর পর্যন্ত প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়। ১ম রাশিয়া, ২য় ইংল্যান্ড, ৩য় ফ্রান্স, ৪র্থ ইউক্রেন। এখানে সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নেই, সবগুলো রাজ্য বা জাতীয় পর্যায়ের বিশ্ববিদ্যালয়।
আইইএলটিএস/টোফেল/ইএসএল/জীআরই/স্যাট প্রয়োজন কিনা: দেশে এবং বিদেশে দুটো ক্ষেত্রেই ইংরেজি শেখার প্রয়োজনীয়তা সীমাহীন। আইইএলটিএস/টোফেল/ইএসএল এগুলোর যে কোন একটা শিখলে শিক্ষা জীবন যেমন হয় উপভোগ্য তেমনি চাকরি জীবন ও হয় অনিন্দসুন্দর। তাই খামখেয়ালি না করে ইংরেজি খুবই ভাল করে শিখুন। আইইএলটিএস সর্বনিম্ম ৫.০০ স্কোর থেকে সর্বোচ্চ যে কোন স্কোর হলে ভর্তির জন্য ভাল। কি এগুলো শিখতে হবে শুনে হতাশায় পড়ে গেলেন নাকি? নাহ ইউক্রেনে ভর্তি হতে হলে আইইএলটিএস/টোফেল/ইএসএল/জীআরই/স্যাট-এর কোণটাই লাগবে না। আর এটাই সত্যি। অন্যান্য দেশে যেমন ইউকে, ইউএসএ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এ সমস্থ দেশে পড়াশুনা করতে হলে এগুলো অবশ্যই লাগে।
শিক্ষা পদ্ধতি: ইউরোপ ইউনিয়ন এর এই দেশে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলিত। এ দেশের ডিগ্রির গ্রহণযোগ্যতা বিশ্বব্যাপী। এই দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৬-১২ মাসের ফাউন্ডেশন কোর্সে, ৪ বছর মেয়াদি অনার্স, ১ বছর মেয়াদি মাস্টার্স, ৩ বা ৪ বছর মেয়াদি অনার্স, ২ বছর মেয়াদি মাস্টার্স, ৩ বা ৪ বছর মেয়াদি পিএইচডি ও ১ বছর মেয়াদি পোস্ট ডক্টরেট করার সুযোগ রয়েছে।
শিক্ষা সংক্রান্ত খবরাখবর নিয়মিত পেতে রেজিস্ট্রেশন করুন অথবা Log In করুন।
Account Benefitপড়ার বিষয়: বিভিন্ন বিষয়ে ও পড়া যায় যেমন- মেডিকেল(এমবিবিএস) , ইঞ্জিনিয়ারিং, নার্সিং, ডেনটিস্ট্রি, মেডিসিন, কম্পিউটার সায়েন্স, হেলথ অ্যান্ড হাইজিন, ফিলোসফি, ইনফরমেশন সায়েন্স, ফিজিক্যাল এডুকেশন, ফিজিক্যাল থেরাপি, এগ্রিকালচার, এগ্রোনমিক সায়েন্সেস, বিজনেস (বাণিজ্য প্রশাসন),ফাইন্যান্স, একাউন্টি, মার্কেটিং, ম্যাথমেটিকস,ফুড ইন্ডাস্ট্রি, হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, ক্যাটল ব্রিডিং, এডুকেশন, লিঙ্কুইস্টিকস, সোশ্যাল সায়েন্সেস, হর্টিকালচার, আর্কিটেকচার, বিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রি, ইকোলজি, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, রুরাল ডেভেলপমেন্ট, এনার্জি, কেমিস্ট্রি, জিওলজি, মিউজিক অ্যান্ড মিউজিকোলজি, ইন্টেরিয়র ডিজাইন ইত্যাদি।
পড়াশোনার আনুমানিক খরচ: ইউরোপ ইউনিয়ন এর ইউক্রেনে পড়াশোনার খরচ অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। একজন শিক্ষার্থীর ১ম বছরে ভর্তিসহ টিউশন ফি দরকার হবে প্রায় ৭,০০০ ডলার বা ৫,৪৬,০০০/= টাকা কিন্তু ২য় বছরে টিউশন ফি লাগবে আনুমানিক ৩,৩০০ ডলার বা ২,৬০,০০০/= টাকা। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রোগ্রাম ভেদে খরচের তারতম্য হতে পারে।
আবেদন ও ভর্তি প্রসেসিং : ইউরোপ ইউনিয়ন এর দেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী শিক্ষার্থীকে প্রথমে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাছাই করতে হয়। তারপর পছন্দের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করে ই-মেইলে আবেদন পাঠাতে হয়। ই-মেইল পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবেদন সংক্রান্ত সব তথ্য জানিয়ে দেয়। সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীকে একাডেমিক কাগজপত্রের সত্যায়িত নোটারাইজড ফটোকপি, বার্থ সার্টিফিকেট, পুলিশ ছাড়পত্রের ফটোকপি, পাসপোর্টের ভিসা অংশ ফটোকপি, কালার ছবি ইত্যাদি কাগজপত্রসহ আন্তর্জাতিক কুরিয়ারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে চূড়ান্ত মূল্যায়নের পাঠাতে হয়।
ওরিজিনাল ইনভিটেশন লেটার হাতে পেলে ইনভিটেশন লেটার এবং যাবতীয় ডকুমেন্টসহ নিকটস্থ ইউক্রেন এম্বাসিতে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
এম্বাসি ও ইন্টারভিউ: ইন্টারভিউ তে কোন প্রকার নার্ভাসনেস থাকলে চলবে না, চাই আত্মবিশ্বাস ও পূর্ব প্রস্তুতি এটা যে কোন পরীক্ষায় সফলতা এনে দেবে এতে কোনো সন্দেহ নাই । সাধারনতঃ প্রশ্ন হতে পারে- আপনার নাম কি, কোথা হতে এসেছেন?, কোন প্রতিষ্ঠান এ ভর্তি হবেন , কেন হবেন? দেশে এত ইউনিভার্সিটি রেখে বিদেশে পড়াশোনা করতে যাবেন কেন? লেখাপড়া শেষ করে কি করবেন , কোথায় থাকবেন? ইংরেজি বিষয় কি অধ্যয়ন করেছেন ইত্যাদি। এই ইন্টার ভিওতে সফলতার জন্য নীচের লিঙ্কটিতে ভিজিট করতে পারেন এবং আবেদন ফরম, ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ও ইন্টারভিউ এর ভীতি দুরকরনের ফ্রী পরামর্শ পেতে আপনার পাশে সর্বদা রয়েছি আমরা। আরো বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
- মাস্টার্স শেষ পর্ব পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ
- এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট কোর্স- ইংলিশ, চাইনিজ, আরবি, ফ্রেঞ্চ
- বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল-বিজ্ঞপ্তি
- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর
- খুবির ৬ষ্ঠ সমাবর্তন ২২ ডিসেম্বর
- জবির সমাবর্তন ১১ জানুয়ারি
- জবিতে শূন্য আসনে ভর্তির সাক্ষাৎকার শুরু ২০ ডিসেম্বর
- রাবিতে আন্তর্জাতিক ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু বৃহস্পতিবার
- অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু ১৩ জানুয়ারি; মাস্টার্স রিলিজ স্লিপ আবেদন শুরু ১৯ ডিসেম্বর
- ডিজিটাল মেলা-২০২০ উপলক্ষে টেলিকমিউনিকেশন দফতরের রচনা প্রতিযোগিতা
- ঢাকা পলিটেকনিকে জানুয়ারি-জুন’২০ সেশনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি শুরু
- জেএসসি-পিইসির ফল বছরের শেষ দিন
- ৪০তম বিসিএস: লিখিত পরীক্ষা ৪-৮ জানুয়ারি
- তিতুমীর কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের নিবন্ধন শেষ আজ
Submit Your Comments: