এশিয়ান ইউনিভার্সিটি সম্পর্কে সংবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

সংবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

সম্প্রতি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও অন্যান্য কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত কিছু সংবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

এ ব্যাপারে শিক্ষার্থী, সম্মানিত অবিভাবক ও সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য আমাদের বক্তব্য নিম্নরূপঃ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর উপাচার্য নিয়োগের ব্যাপারে যথাসময়ে যথযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

০৮/০৫/২০১২ ইং তারিখে কার্যরত উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুযায়ী উপাচার্য নিয়োগের জন্য এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ট্রাস্ট কর্তৃক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ২২/০৩/২০১২ ইং তারিখে প্যানেল প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে (উল্লেখ্য, ২০০৯ থেকে উপাচার্য নেই কথাটি সঠিক নয়, কারণ মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১২ সনে)।

প্রস্তাব অনুযায়ী সময় মতো নিয়োগ না পাওয়ার দরূণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ৪ (চার) বার অনুস্মারক-পত্র (রিমাইন্ডার) দেওয়া হয়েছে এবং সেজন্য সাক্ষাৎ করা হয়েছে। অনুস্মারক পাঠানোর তারিখ হলোঃ ০৮/০৭/২০১২, ৩০/১২/২০১২, ১৩/০১/২০১৩ ও ২৯/০৩/২০১৫।

কিন্তু দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ৩১/০৮/২০১৬ ইং তারিখের পত্রের মাধ্যমে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ট্রাস্টের চেয়ারম্যানকে নতুন প্যানেল প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়। সে অনুযায়ী সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন প্যানেল প্রস্তুত করে আবার ০৬/১১/২০১৬ ইং তারিখে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়, যা বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন আছে।

এভাবে এইউবি ট্রাস্ট বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী উপাচার্য নিয়োগের জন্য যথাযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সুতরাং উপাচার্য নিয়োগে বিলম্বের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দায়ী করা যায় না। এছাড়া উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ প্রস্তাবিত প্যানেলের প্রথম ব্যক্তিকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য দায়িত্ব প্রদান করে।

শিক্ষা সংক্রান্ত খবরাখবর নিয়মিত পেতে রেজিস্ট্রেশন করুন অথবা Log In করুন।

Account Benefitউল্লেখ্য, তিনি পূর্ব মেয়াদেও মহামান্য চ্যান্সেলর কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত ছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় তাঁকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি সে অনুযায়ী নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে এই দায়িত্ব প্রদানের কথা লিখিতভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিকে জানানো হয়েছে। তদনুসারে উল্লেখিত ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের নামে ও পদবীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি, অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে দাপ্তরিক চিঠিপত্রও পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১১ আগষ্ট ২০১৪ইং তারিখ ইউজিসি’র বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দৈনিক ইত্তেফাকে ঐসব বেসরকারী বিশ্ববিদ্যায়ের তালিকা প্রকাশ করে, যাদের কোন সমস্যা নেই। সমস্যাহীন ৭৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই তালিকায় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ৮ম নাম্বারে রয়েছে। এছাড়া যেসব বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন প্রকার সমস্যা আছে, ইউজিসি তাদের তালিকা প্রকাশ করে, যাতে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর নাম নেই (দ্রষ্টব্যঃ দৈনিক ইত্তেফাকঃ ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪, দ্যা ডেইলি স্টার ও আমাদের সময়ঃ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪)।

অতএব, সংশ্লিষ্ট সকলকে অত্র বিশ্ববিদ্যালয় ও কর্তৃপক্ষের প্রতি আস্থা অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
More detail about
Asian University of Bangladesh