প্রতি বিভাগে ১৬ জন অধ্যাপকসহ আট দাবি ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সাত কলেজের শিক্ষার মানোন্নয়নে আটটি দাবি উত্থাপন করেছেন অধ্যক্ষরা। শনিবার (২ নভেম্বর) তারা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় দাবিগুলো লিখিত আকারে পেশ করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি দাবিগুলো বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।
গতকাল শনিবার (২ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সাক্ষাৎকালে অধ্যক্ষরা কলেজগুলোর শিক্ষা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। এ সময় শিক্ষক সংকট, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ও ল্যাবরেটরি সুবিধার ঘাটতি, পরিবহন সংকট ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন তারা। তারা মন্ত্রীকে বলেন, দেশের কলেজগুলোর উন্নয়নে সরকার কলেজ শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প (সিইডিপি) গ্রহণ করেছে। কিন্তু সাত কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়ার পর ওই প্রকল্প থেকে বাদ দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
এসময় অধ্যক্ষগণ রাজধানীর বড় সাতটি সরকারি কলেজের প্রতিটি বিভাগে কমপক্ষে ১৬ জন করে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করতে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির কাছে দাবি করেছেন ওই সব কলেজের অধ্যক্ষরা। পদ সৃষ্টিতে সময় লাগায় আপাতত সংযুক্তির মাধ্যমে হলেও শিক্ষক দেওয়ার অনুরোধ করেছেন তাঁরা।
অধ্যক্ষরা জানান, কলেজগুলোতে বিদ্যমান সেশনজট পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নপূরণ হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে সরাসরি একাডেমিক, পরীক্ষা ও অন্যান্য দিক পরিচালিত হচ্ছে।
পরে তারা দুই পৃষ্ঠার লিখিত একটি চিঠি শিক্ষামন্ত্রীকে হস্তান্তর করেন। এতে আটটি দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলো হচ্ছে-কলেজগুলোর বৈজ্ঞানিক ও কম্পিউটার ল্যাবরেটরি আধুনিকীকরণ; জরুরিভিত্তিতে ভবনগুলো উন্নয়ন ও সংস্কার; অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের মান উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের জন্য সিইডিপি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তকরণ; শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা যথাসময়ে অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ; নিরাপত্তার স্বার্থে কলেজগুলোতে পর্যাপ্তসংখ্যক বা কমপক্ষে পাঁচটি বাস সরবরাহ; সংযুক্ত বা প্রকল্পের মাধ্যমে কলেজগুলোতে পর্যাপ্তসংখ্যক তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ; ক্যাম্পাসে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন ও বায়োমেট্রিক হাজিরা নিশ্চিত করা এবং বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও উৎসব উদযাপন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক করা। এ ক্ষেত্রে বরাদ্দ বা ছাত্রদের কাছ থেকে আদায়ের নির্দেশনা প্রদান।
অধ্যক্ষরা লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রথম দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের টানাপোড়েনে কিছু সমস্যা হলেও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে ও প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণে সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ সম্মিলিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। অনেক সংকটের উত্তোরণ সম্ভব হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমে ফিরে এসেছে। এই সাত প্রতিষ্ঠানকে মডেল কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর চাপ কমানোর লক্ষ্যে জরুরি কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তারা।
তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজে চার বছরের সমন্বিত অনার্স (পূর্বের ৩ বছরের অনার্স) ও মাস্টার্স, ৩ বছরের ডিগ্রি পাস (পূর্বের ২ বছরের ডিগ্রি), মাস্টার্স (প্রিলিমিনারি) এবং ইন্টারমিডিয়েট শ্রেণিতে পাঠদান করা হয়।
শিক্ষা সংক্রান্ত খবরাখবর নিয়মিত পেতে রেজিস্ট্রেশন করুন অথবা Log In করুন।
Account Benefit১৯৮৩ সালের এনাম কমিটির প্যাটার্ন মোতাবেক প্রতিটি বিভাগে ১২টি পদ থাকার কথা। প্রায় কলেজেই সে মোতাবেক পদ সৃষ্টি হয়নি। দেশের সব সরকারি কলেজের জন্য ১২ হাজার ৫০০টি পদ সৃজনের প্রস্তাব জনপ্রশাসনে রয়েছে। নানা টানাপোড়েনে এতে সময় লাগবে।
অধ্যক্ষরা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিটি বিভাগে ১৬ জন শিক্ষক জরুরি। পদ সৃষ্টির পূর্ব পর্যন্ত এসব কলেজে সংযুক্ত পদায়ন সম্ভব। পুরনো কলেজে এখনও অনেক সংযুক্ত আছে। নতুন সব কলেজেই সংযুক্ত পদায়ন রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও এজন্য প্রতিনিয়ত চাপ সৃষ্টি করছে।
সাত কলেজের অধ্যক্ষরা মনে করেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আগ্রহ ও নির্দেশনায় ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সরকারি সাত কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়। তার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে পদ সৃষ্টির পূর্বে সংযুক্তির মাধ্যমে পর্যাপ্ত শিক্ষক পদায়ন আবশ্যক।
অধ্যক্ষদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে, কলেজের বৈজ্ঞানিক ও কম্পিউটার ল্যাব আধুনকায়ন ও সুসজ্জিতকরণ এবং অবকাঠামো উন্নয়ন ও ভবনসমূহ জরুরি সংস্কার।
অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের মনোন্নয়ন এবং প্রশিক্ষণের জন্য সিইডিপি প্রজেক্ট থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সাত কলেজেকে বাদ দিয়েছে উল্লেখ করে অধ্যক্ষগণ প্রজেক্টে অন্তুর্ভুক্তির দাবি জানান।
শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও পরীক্ষা যথাসময়ে অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ এবং নিরাপত্তার স্বার্থে কলেজসমূহে কমপক্ষে পাঁচটি করে বাস সরবরাহের দাবি জানান অধ্যক্ষরা।
এছাড়াও সংযুক্ত বা প্রকল্পের মাধ্যমে কলেজগুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যক তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ, ক্যাম্পাসে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং বায়োমেট্রিক হাজিরা নিশ্চিকরণসহ ডিজিটালাইজেশনে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া ইত্যাদি।
বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও উৎসব উদযাপন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য বাধ্যতামূলক উল্লেখ করে তারা এক্ষেত্রে বরাদ্দ বা শিক্ষার্থীদের নিকট হতে আদায়ের নির্দেশনা চান মন্ত্রীর কাছে।
বৈঠকে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শামসুন নাহার, তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আশরাফ হোসেন, সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফেরদৌসী খান, বেগম বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক হোসনে আরা শেফালী, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন এবং সাত কলেজের সমন্বয়ক ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আইকে সেলিমউল্লাহ খোন্দকার।
সাক্ষাৎ শেষে জানতে চাইলে অধ্যাপক আইকে সেলিমউল্লাহ খোন্দকার বলেন, শিক্ষামন্ত্রী কলেজগুলোর সার্বিক বিষয় মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। তিনি বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। সিইডিপি প্রকল্পের সুবিধা কীভাবে কলেজগুলো পেতে পারে সেটি তিনি দেখবেন বলে জানিয়েছেন। প্রয়োজনে কলেজগুলোর জন্য পৃথক প্রকল্প গ্রহণের আশ্বাসও দেন তিনি।
- মাস্টার্স শেষ পর্ব পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ
- এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট কোর্স- ইংলিশ, চাইনিজ, আরবি, ফ্রেঞ্চ
- বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল-বিজ্ঞপ্তি
- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর
- খুবির ৬ষ্ঠ সমাবর্তন ২২ ডিসেম্বর
- জবির সমাবর্তন ১১ জানুয়ারি
- জবিতে শূন্য আসনে ভর্তির সাক্ষাৎকার শুরু ২০ ডিসেম্বর
- রাবিতে আন্তর্জাতিক ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু বৃহস্পতিবার
- অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু ১৩ জানুয়ারি; মাস্টার্স রিলিজ স্লিপ আবেদন শুরু ১৯ ডিসেম্বর
- ডিজিটাল মেলা-২০২০ উপলক্ষে টেলিকমিউনিকেশন দফতরের রচনা প্রতিযোগিতা
- ঢাকা পলিটেকনিকে জানুয়ারি-জুন’২০ সেশনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি শুরু
- জেএসসি-পিইসির ফল বছরের শেষ দিন
- ৪০তম বিসিএস: লিখিত পরীক্ষা ৪-৮ জানুয়ারি
- তিতুমীর কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের নিবন্ধন শেষ আজ
Submit Your Comments: