মন্ত্রিসভায় উঠছে প্রাথমিকের ‘মিড ডে মিল নীতি’
দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য পুষ্টিমান সম্পন্ন খাবার দেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এটি আগামী শিক্ষাবর্ষ (২০২০) থেকে চালু হতে পারে। এ লক্ষ্যে একটি নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করে আজ সোমবার (১৯ আগষ্ট) মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে অনুমোদনের জন্য তোলা হচ্ছে। এটিকে ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতি ২০১৯’ বলে প্রাথমিকভাবে অভিহিত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
‘জাতীয় স্কুল মিল নীতিমালা ২০১৯’ সোমবার মন্ত্রিসভায় উঠছে। প্রাথমিকের সব শিশুর জন্য দুপুরের খাবারে বছরে প্রয়োজন হবে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বলেন, ‘বর্তমানে ১০৪ উপজেলায় প্রকল্পের মাধ্যমে স্কুল ফিডিং (বিস্কুট বিতরণ) চালু আছে। আমরা সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই স্কুল ফিডিং চালু করতে চাই। এ জন্য অংশীজনদের মতামত ও একাধিক কর্মশালার মাধ্যমে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। মন্ত্রিসভায় তা পাস হলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারব।’
নীতিমালার খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘একটি শিশুর প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় শক্তির চাহিদার ন্যূনতম ৩০ শতাংশ স্কুল মিল থেকে আসা নিশ্চিত করা হবে। প্রতিদিনের খাবারে বৈচিত্র্য আনতে পুষ্টিচাল, ডাল, পুষ্টিতেল, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বিভিন্ন মৌসুমি তাজা সবজি, ফল এবং সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ডিম দিয়ে খাবার রান্না করা হবে। অভিভাবক ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে পরামর্শ করে খাবারের মেনু ঠিক করা হবে।’
জানা যায়, স্কুল ফিডিং হিসেবে এতোদিন রান্না করা গরম খাবারের কথা ভাবা হলেও এখন বিকল্প হিসেবে ডিম, কলা, পাউরুটি ও বিস্কুটের প্রস্তাব করেছে মন্ত্রণালয়। মূলত রান্না করার নানা ঝামেলা থেকে মুক্ত হতেই এ বিকল্প প্রস্তাবের কথা চিন্তা করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে নীতিমালা পাসের পর এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় ঠিক করবে।
শিক্ষা সংক্রান্ত খবরাখবর নিয়মিত পেতে রেজিস্ট্রেশন করুন অথবা Log In করুন।
Account Benefitসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে দুপুরে রান্না করা খাবার পরিবেশনের চিন্তা থাকলেও সময়ের অপচয় এবং শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ নষ্ট হবে- এমন চিন্তা করেও এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন।
কর্মকর্তারা জানান, আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ কার্যক্রম শুরুর চিন্তা-ভাবনা থাকলেও আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে চলতি বছরের শুরু থেকে দেশের ১৬ উপজেলায় ‘মিড ডে মিল’ হিসেবে রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে।
তথ্যমতে, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফও) আওতায় ২০১০ সালে স্কুল শিক্ষার্থীদের বিস্কুট দেয়ার কর্মসূচি শুরু হয়। সারাদেশের ১০৪টি দরিদ্রপ্রবণ উপজেলার সবগুলো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং হিসেবে বিস্কুট বিতরণ শুরু হয়। আগামী ৩১ ডিসেম্বর এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, ‘জাতীয় স্কুল মিল’ নীতিমালা প্রণয়নের জন্য ২০১৬ সালে একটি কমিটি গঠন করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০১৭ সালে এ নীতিমালার খসড়া প্রণয়ন করা হলেও তা কার্যকর হয়নি। সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতিমালা-২০১৯’ চূড়ান্ত করে, যা এখন অনুমোদনের অপেক্ষায়।
‘মিড ডে মিল’ নীতিমালার খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, শিশুদের নির্ধারিত খাবার দেয়া হবে পূর্ণ দিবস বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে রান্না করা খাবার দেয়া হবে সপ্তাহে পাঁচদিন। একদিন দেয়া হবে পুষ্টিমানসমৃদ্ধ বিস্কুট। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় অর্ধদিবস বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এ হার হবে ৫০ শতাংশ।
- মাস্টার্স শেষ পর্ব পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ
- এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট কোর্স- ইংলিশ, চাইনিজ, আরবি, ফ্রেঞ্চ
- বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল-বিজ্ঞপ্তি
- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর
- খুবির ৬ষ্ঠ সমাবর্তন ২২ ডিসেম্বর
- জবির সমাবর্তন ১১ জানুয়ারি
- জবিতে শূন্য আসনে ভর্তির সাক্ষাৎকার শুরু ২০ ডিসেম্বর
- রাবিতে আন্তর্জাতিক ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু বৃহস্পতিবার
- অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু ১৩ জানুয়ারি; মাস্টার্স রিলিজ স্লিপ আবেদন শুরু ১৯ ডিসেম্বর
- ডিজিটাল মেলা-২০২০ উপলক্ষে টেলিকমিউনিকেশন দফতরের রচনা প্রতিযোগিতা
- ঢাকা পলিটেকনিকে জানুয়ারি-জুন’২০ সেশনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি শুরু
- জেএসসি-পিইসির ফল বছরের শেষ দিন
- ৪০তম বিসিএস: লিখিত পরীক্ষা ৪-৮ জানুয়ারি
- তিতুমীর কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের নিবন্ধন শেষ আজ
Submit Your Comments: