পদত্যাগ না করায় রোকেয়া হল প্রাধ্যক্ষের অফিসে তালা; আশ্বাসে অনশন ভেঙ্গেছে শিক্ষার্থীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে দাবি না মানায় রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার কক্ষ, হাউস টিউটর অফিস ও হল অফিসে তালা দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা তালা লাগিয়ে দেয়।

এর আগে ডাকসু নির্বাচনের পর দিন থেকে চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ ও অনশন কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) প্রভোস্ট-প্রক্টর অনশন ভাঙাতে এলে তোপের মুখে পরে অনশন না ভাঙিয়ে চলে যান। তখন শিক্ষার্থীরা অনশন স্থগিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রাধ্যক্ষকে পদত্যাগের সময়সীমা নির্ধারন করে দেন।

কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করায় এ তালা মারা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের চারটি দাবি হলো- রোকেয়া হল সংসদে নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়া, সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা, আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা দেওয়া ও হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিনাত হুদার পদত্যাগ করা।

হলের শিক্ষার্থীরা জানায়, আমরা ম্যামের পদত্যাগের জন্য সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। কিন্তু সেটি মানা হয়নি। যার কারণে সবাই মিলে তালা দিয়েছি। নতুন প্রভোস্ট এলে আমরা চাবি হস্তান্তর করবো।

শিক্ষা সংক্রান্ত খবরাখবর নিয়মিত পেতে রেজিস্ট্রেশন করুন অথবা Log In করুন।

Account Benefitএদিকে, ডাকসুতে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীরা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদের আশ্বাসে অনশন ভেঙেছেন। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার পর পানি ও লাচ্ছি পান করিয়ে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানো হয়।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মাকসুদ কামাল, প্রক্টর গোলাম রব্বানী, ডাকসুর ভিপি নুরুল হক, জিএস গোলাম রাব্বানী, এজিএস সাদ্দাম হোসেন অনশন ভাঙাতে আসেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি তুলে ধরেন। ভিপি নুরুল হক বলেন, আমি জানি নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। কারচুপি করার ফলে মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষকে অপসারণ করা হয়েছে। রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষকে অপসারণ করার ব্যাপারে একমত। আমি আপনাদের সঙ্গে আছি, আপনাদের সঙ্গে থাকবো। আপনারা অনশন ভাঙুন।
More detail about
Dhaka University