শিক্ষার্থীর সন্তানকে কোলে নিয়েই অংক শেখাচ্ছেন শিক্ষক!

শিক্ষার্থীর সন্তান কোলে নাথান

ক্লাসে অংক করাচ্ছিলেন শিক্ষক। এসময় পেছনে বসা এক শিক্ষার্থী ব্যস্ত ছিলেন মোবাইল নিয়ে। ক্লাসে অমনযোগী হয়ে শিক্ষার্থী সোশ্যাল মিডিয়ায় মগ্ন এই ভেবে শিক্ষক তার কাছে এর কারন জানতে চায়। শিক্ষার্থী জানায়, সে আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় নয় বরং সে স্ত্রীর কাছে তার পাঁচ মাস বয়সী মেয়ের খোঁজ নিচ্ছিলেন।

এ কথা শুনে শিক্ষক এরপর থেকে ক্লাসেই তার (শিক্ষার্থীর) মেয়েকে নিয়ে আসতে বলেন। এ ঘটনায় অবাক হয়ে যায় ওই শিক্ষার্থী। এরপর শিক্ষকই তার (শিক্ষার্থীর) মেয়েকে কোলে নিয়ে ক্লাস করান।

এই অবাক করা ঘটনাটিই ঘটে জর্জিয়ার এক অঙ্গরাজ্যের মোরহাউস কলেজের ২৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থী ওয়েন হায়েরের সাথে।

ওয়েন হায়ের পাঁচ মাস আগেই বাবা হয়েছেন। তার স্ত্রী এখনও অসুস্থ। সংসার চালানোর পাশাপাশি মোরহাউস সিনিয়র কলেজে পড়াশোনা করছেন তিনি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কলেজে আসার জন্য তার শিশুকন্যাকে বাড়িতে অসুস্থ স্ত্রীর দায়িত্বে রেখে আসতে হয়।

স্ত্রী নিজেই অসুস্থ, তাই তার পক্ষে মেয়ের দেখাশোনা করা সম্ভব হয় না। হায়েরের মুখে একথা শুনে ৩৪ বছর বয়সী অধ্যাপক নাথান আলেকজান্ডার বলেন, তোমার যখন এতই সমস্যা তখন মেয়েকে নিয়েই কলেজে এসো।

শিক্ষা সংক্রান্ত খবরাখবর নিয়মিত পেতে রেজিস্ট্রেশন করুন অথবা Log In করুন।

Account Benefitপ্রথমে হায়ের ভেবেছিলেন, অধ্যাপক হয়তো তার সঙ্গে রসিকতা করছেন। কিন্তু পরে বুঝতে পারেন সত্যিই আলেকজান্ডার তার ৫ মাসের মেয়েকে নিয়েই কলেজে আসতে বলেছেন। অধ্যাপকের কথামতো পরদিনই ক্যারিয়ারে করে নিজের মেয়েকে কলেজে নিয়ে আসেন হায়ের। কিন্তু, এতেও সমস্যা দেখা দেয়। আসলে, মেয়েকে সামলাতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারছিলেন না তিনি।

এটা বুঝতে পেরে এক অভাবনীয় কাজ করলেন অধ্যাপক। ছাত্রের কাছ থেকে তার মেয়েকে নিজেই কোলে তুলে নিলেন তিনি। তারপর সেই অবস্থাতেই শুরু করলেন ক্লাস। এক শিক্ষার্থী সেই ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় সবার প্রশংসায় ভাসছেন অধ্যাপক নাথান আলেকজান্ডার।