পুরনো স্মৃতি রোমন্থনের মধ্য দিয়ে ঢাবির রোকেয়া হলের ৫ম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

‘সুবর্ণ স্মৃতির মধুর আনন্দে এসো মিলি মোরা সৃজনী ছন্দে’ প্রতিপাদ্য নিয়ে পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ঐতিহ্যবাহী রোকেয়া হলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার (০২ নভেম্বর) দিনব্যাপী নানা আয়োজনে রোকেয়া হলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে পঞ্চমবারের মতো এ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হল। এবারের আয়োজনের স্লোগান ছিল ‘সুবর্ণ স্মৃতির মধুর আনন্দে এসো মিলি মোরা সৃজনী ছন্দে’।

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান। অনুষ্ঠানে এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি ও রোকেয়া হলের প্রাক্তন ছাত্রী অধ্যাপক মাহফুজা খানমকে সম্মাননা দেয়া হয়।

প্রধান অতিথি ছিলেন মনোবিজ্ঞানী, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস, এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির উপ-উপাচার্য এবং রোকেয়া হলের প্রাক্তন ছাত্রী অধ্যাপক ড. হামিদা আখতার বেগম। রোকেয়া হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক রওশন আরা ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিনাত হুদা।

শিক্ষা সংক্রান্ত খবরাখবর নিয়মিত পেতে রেজিস্ট্রেশন করুন অথবা Log In করুন।

Account Benefitস্বাগত বক্তব্য দেন রোকেয়া হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মরিয়ম বেগম। অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক সালমা আখতার সবাইকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একে আজাদ।

উদ্বোধনী বক্তৃতায় উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদানকে দুটি পর্যায়ে বিন্যস্ত করা যায়। প্রথম পর্যায়টি ১৯২১ থেকে ১৯৪৮ সাল। জাতির মনস্তাত্ত্বিক উন্নয়ন এবং আদর্শ ও দর্শনের উপযুক্ততা ধারণ করার মানসকাঠামোর বিনির্মাণ হয়েছে এ সময়ে। আর দ্বিতীয় পর্যায় ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ সাল। এই সময়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশ ঘটেছিল। এ চেতনাকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে রোকেয়া হলের ছাত্রীরা অবদান রেখেছিলেন।

উপাচার্য বলেন, একজন প্রধানমন্ত্রী এই হলের শিক্ষার্থী, শুধু এ জন্যই হলটি ধন্য, তা নয়। ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এ হলে থেকে বহু গুণী ব্যক্তিত্ব লেখাপড়া করেছেন। সেসব মহীয়সী নারীর মাধ্যমে বাংলাদেশ বর্তমান পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে।
More detail about
Dhaka University