উচ্চ শিক্ষা খাতে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের সাথে সাথে উচ্চ শিক্ষার ওপর গুরুত্ব প্রদান করছে বর্তমান সরকার। এরই অংশ হিসাবে উচ্চ শিক্ষাইয় গবেষণা এবং উদ্ভাবন খাতে অধিক বরাদ্ধ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, শিক্ষাখাতে উচ্চতর গবেষণা সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত মোট ৪৬৬ জনকে গবেষণার জন্য অর্থ দেয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘শিক্ষাখাতে উচ্চতর গবেষণা সহায়তা কর্মসূচিবিষয়ক কর্মশালা, চেক হস্তান্তর ও সমাপ্ত গবেষণার প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ অনুষ্ঠানের সর্বোপরি আয়োজনে ছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)।

মন্ত্রী বলেন, এসব প্রকল্পের মধ্যে ২২৯টি গবেষণা প্রকল্প সমাপ্ত হয়েছে। যাতে ব্যয় হয়েছে ৪৮ কোটি টাকা। আরও ২৩৭টি গবেষণা প্রকল্প চলমান রয়েছে। যাতে ব্যয় হবে আরও ১৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

গবেষণায় সাফল্যের উল্লেখ করে তিনি বলেন, জ্ঞান সৃষ্টি ও গবেষণায় আমরা জোর দিচ্ছি। গবেষণায় বরাদ্দ অবশ্যই বাড়ানো হবে। জ্ঞান ও প্রযুক্তি রফতানিকারকদের মধ্যে আমরা অন্তর্ভুক্ত হতে চাই।

শিক্ষা সংক্রান্ত খবরাখবর নিয়মিত পেতে রেজিস্ট্রেশন করুন অথবা Log In করুন।

Account Benefitএছাড়া হেকেপ প্রকল্পের মাধ্যমে গবেষণার যে অবকাঠামো গড়ে উঠেছে, তা আরও বাড়ানো হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও শিক্ষাখাতে উচ্চতর গবেষণা সহায়তা কর্মসূচির সভাপতি প্রফেসর ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ এবং ব্যানবেইসের মহাপরিচালক ও কর্মসূচির সদস্য সচিব মো. ফসিউল্লাহ।

অনুষ্ঠানে ২০১৩-১৫ সালের সমাপ্ত গবেষণার প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করেন শিক্ষামন্ত্রী। পরে শিক্ষামন্ত্রী ২০১৬ -১৭ অর্থবছরের ৫২টি গবেষণা প্রকল্পের তৃতীয় কিস্তি, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ৮৫টি গবেষণা প্রকল্পের ২য় কিস্তি এবং ২০১৮ -১৯ অর্থবছরের ১০০টি গবেষণা প্রকল্পের প্রথম কিস্তির ১৫ কোটি ৬২ লাখ টাকার চেক গবেষকদের মাঝে হস্তান্তর করেন।