প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ: আসন বিন্যাস ও প্রশ্ন নির্ধারণ করবে মন্ত্রনালয়

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আসন বিন্যাস এবং প্রশ্ন নির্ধারণ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে করা হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রনালয় সূত্র। এছাড়াও এবারের প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার নিরাপত্তা কঠোরের সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হয়েছে মন্ত্রনালয় থেকে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় সূত্র জানায়, অন্যান্যবারের তুলনায় এবার রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থী এ নিয়োগের জন্য আবেদন করেছে। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে পরীক্ষা আয়োজন করতে গিয়ে ঝামেলায় পরছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারা। এসব কারনে অক্টোবরে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস এবং সার্বিক নিরাপত্তার কথা ভেবে তা পিছিয়ে নভেম্বরে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এক সভায় মন্ত্রনালয় থেকে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সূত্র জানায়, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এ সভায় নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে এখনো আলোচনাই হয়নি। এ সভায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রনয়ন, ওএমআর শিটের ডিজাইন এবং মূল্যায়ন, পরীক্ষার কেন্দ্র বাড়ানো, পরীক্ষা কেন্দ্রের আসন বিন্যাসের পদ্ধতি উন্নয়ন, পরীক্ষার সময়সূচি, ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ এবং প্রকাশ নিয়ে আলোচনা করা হয়।

শিক্ষা সংক্রান্ত খবরাখবর নিয়মিত পেতে রেজিস্ট্রেশন করুন অথবা Log In করুন।

Account Benefit
মন্ত্রনালয় থেকে জানা যায়, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮-এ ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, কিন্তু এ ১২ হাজার পদের বিপরীতে আবেদন পরেছে ২৪ লাখ। এত বড় নিয়োগ পরীক্ষা সংগঠনের বড় ধরনের প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে মন্ত্রনালয়কে। এরই অংশ হিসেবে এবার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন নির্বাচন ও আসন বিন্যাস মন্ত্রণালয় থেকে করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

এর পূর্বে এটি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে করা হত।

জানা গেছে, সর্বশেষ ‘শিক্ষক নিয়োগ-২০১৪’ এ প্রায় ১২ লাখ প্রার্থীর বহুনির্বাচনী পরীক্ষা সারাদেশে ৩ হাজার ৬৬২টি কেন্দ্রে আয়োজন করা হয়। এবার দ্বিগুণ আবেদন আসায় পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হবে। এ পরীক্ষার জন্য ২০টি প্রশ্ন সেট তৈরি করা হলেও এবার তা বাড়ানো হতে পারে। মন্ত্রণালয়ের সভায় এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্র জানায়, বর্তমানে সারাদেশে ৬৪ হাজার ৮২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ১২ হাজার সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এ কারণে নতুন করে আরও ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পুরনো নিয়োগ বিধিমালা অনুসরণ করে এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়।