কুয়েট উপাচার্যের সাথে খুলনাস্থ ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনারের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের খুলনাস্থ সহকারী হাই কমিশনার রাজেশ কুমার রাইনা খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য ড. মুহাম্মদ আলমগীর এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। গতকাল বুধবার (১১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপাচার্যকে ফুল দিয়ে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান সহকারী হাই কমিশনার। স্বাক্ষাৎকালীন সময়ে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও উন্নয়ন কর্মকান্ডসহ খুলনা থেকে ভারতে যাতায়াত এবং কুয়েটের সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ শিক্ষা গবেষণা ও শিক্ষা কার্যক্রম বিনিময় প্রোগ্রাম নিয়ে আলোচনা হয়।
কুয়েট উপাচার্যকে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনারকে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাগত জানিয়ে বলেন, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান। কুয়েট বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী। কুয়েট উপাচার্য বলেন, উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে নানামুখী প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, ভারত এবং বাংলাদেশ একে অপরের পরীক্ষিত বন্ধু, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের ভূমিকা বাংলাদেশ কখনওই ভুলবে না। দুই দেশের মধ্যে সীমানা আলাদা থাকলেও আন্তরিকতা ও হৃদয়ের টান একই। তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে চমৎকার দ্বিপাক্ষীক সম্পর্কের কারণে উভয় দেশের আস্থাপূর্ণ উন্নয়ন ও সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি এবং আঞ্চলিক কানেক্টিভিটিতে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
শিক্ষা সংক্রান্ত খবরাখবর নিয়মিত পেতে রেজিস্ট্রেশন করুন অথবা Log In করুন।
Account Benefitভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার উপাচার্যকে তার নিজের এবং তার দেশের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন ইতিহাস-ঐতিহ্যে, সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বাংলাদেশ ও ভারতের দীর্ঘ অভিন্নতার ইতিহাস রয়েছে। যেখানে মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক শত শত বছর ধরে অত্যন্ত চমৎকার। দেশভাগ হলেও আজও আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতি ও অন্তরের অনুভব ভাগ হয়নি। তিনি উভয় দেশের চমৎকার দ্বিপাক্ষীক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, ভারত বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে এ অঞ্চলে আরও বিনিয়োগ ও সুবিধা বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। বিশেষত শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে আমাদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
খুলনাঞ্চলের মানুষের ভারতে যাতায়াত সুবিধায় এবং ভারতের মানুষের খুলনাঞ্চলে তথা এদেশে যাতায়াতে আমরা খুলনাতে একটি ইমিগ্রেশন অফিস খুলবো, যাতে খুলনা রেলওয়ে স্টেশনেই ইমিগ্রেশনের কাজটি সম্পন্ন হয় এবং যাত্রীরা বিনা ভোগান্তিতে সহজেই ভারতে পৌঁছাতে পারে। এছাড়া সপ্তাহে একদিনের পরিবর্তে একাধিক দিন খুলনা-কলকাতা ট্রেন সার্ভিস চালুর বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। এর ফলে কলকাতায় যেয়ে কাজ সেরে একদিনের মধ্যেই আবার চলে আসার মতো সুবিধা সৃষ্টি হবে।
তিনি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চমৎকার শিক্ষার পরিবেশ এবং ক্যাম্পাসের উন্নয়ন কর্মকান্ড দেখে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এ বিশ্ববিদ্যালয়টি নিকট ভবিষ্যতে বিশ্বের উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়ের সারিতে স্থান করে নেবে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন হালদার ও রেজিস্ট্রার জি. এম. শহিদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
More detail about
Khulna University of Engineering and Technology
- মাস্টার্স শেষ পর্ব পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ
- এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট কোর্স- ইংলিশ, চাইনিজ, আরবি, ফ্রেঞ্চ
- বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল-বিজ্ঞপ্তি
- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর
- খুবির ৬ষ্ঠ সমাবর্তন ২২ ডিসেম্বর
- জবির সমাবর্তন ১১ জানুয়ারি
- জবিতে শূন্য আসনে ভর্তির সাক্ষাৎকার শুরু ২০ ডিসেম্বর
- রাবিতে আন্তর্জাতিক ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু বৃহস্পতিবার
- অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু ১৩ জানুয়ারি; মাস্টার্স রিলিজ স্লিপ আবেদন শুরু ১৯ ডিসেম্বর
- ডিজিটাল মেলা-২০২০ উপলক্ষে টেলিকমিউনিকেশন দফতরের রচনা প্রতিযোগিতা
- ঢাকা পলিটেকনিকে জানুয়ারি-জুন’২০ সেশনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি শুরু
- জেএসসি-পিইসির ফল বছরের শেষ দিন
- ৪০তম বিসিএস: লিখিত পরীক্ষা ৪-৮ জানুয়ারি
- তিতুমীর কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের নিবন্ধন শেষ আজ
Submit Your Comments: