সারাদেশে অভিন্ন প্রশ্নে আর পাবলিক পরীক্ষা নয়: শিক্ষামন্ত্রনালয়
এবার থেকে সারাদেশে কোনো পাবলিক পরীক্ষা অভিন্ন প্রশ্নে না নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। গতকাল বুধবার (০৭ মার্চ) শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের এক সভায় প্রশ্ন ফাঁস ঠেকানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও বেশ কিছু প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় ১২টি বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁসের রেকর্ডের পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় আগামী ২ এপ্রিল থেকে সারাদেশে শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাটিই বোর্ডভিত্তিক আলাদা প্রশ্নে নেওয়া যায় কি-না সে চেষ্টা করার বিষয়ে আলোচনা হয়। একই সঙ্গে, আগামীতে আগের চেয়ে বেশি সেট প্রশ্নপত্র ছাপানো, পরীক্ষা শুরুর ২০ মিনিট আগে বোর্ড থেকে কেন্দ্র সচিবকে প্রশ্নের নির্ধারিত `সেট কোড` জানানো, বিজি প্রেস থেকে প্রশ্ন ছাপিয়ে বিশেষ প্যাকেটে কেন্দ্রে পৌঁছানোসহ নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
সভায় আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে প্রত্যেক শিক্ষা বোর্ডে আলাদা প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ একটি বোর্ডের প্রশ্ন ফাঁস হলেও অন্য বোর্ডের পরীক্ষায় তার কোনো প্রভাব পড়ে না। সভায় তিন থেকে চার সেট প্রশ্ন ছাপানোর বিষয়েও আলোচনা করা হয়।
সভা শেষে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, `একেক বোর্ডে একেক প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। পরীক্ষার আগেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে। এসএসসি পরীক্ষায় আধঘণ্টা আগে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিজ্ঞতা থেকে আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীরা রুমে ঢোকার পর কোন সেটের প্রশ্নে পরীক্ষা হবে তা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। বর্তমানে দুই সেট প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হলেও এইচএসসি পরীক্ষায় আরও বেশি সেট প্রশ্ন ছাপার চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার।
শিক্ষা সংক্রান্ত খবরাখবর নিয়মিত পেতে রেজিস্ট্রেশন করুন অথবা Log In করুন।
Account Benefitএ দিকে অভিন্ন প্রশ্নপত্র নিয়ে শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা বলছেন, আগে প্রতিটি বোর্ডে আলাদা প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হতো। এতে কোনো বোর্ডে নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস হলেও তাতে সারাদেশে কোনো প্রভাব পড়ত না। কিন্তু চলতি বছর মাধ্যমিকে সারাদেশে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে বোর্ডগুলোকে। পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিতর্কও হয়েছে অনেক।
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, শিক্ষাবিদদের পরামর্শে সারাদেশে একই মানের পরীক্ষা নিশ্চিত করতে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বিশেষ করে গত বছর এসএসসি ও এইচএসসিতে কুমিল্লা বোর্ডে ফল বিপর্যয়ের পর অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী এবার মাধ্যমিকে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু একের পর এক প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় এ সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে আগামীতে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দুটি বোর্ডভিত্তিক আলাদা প্রশ্নে নেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে করণীয় নির্ধারণ করতে গতকাল বেলা ১১টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিক্ষামন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিইসি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর সোহেল রহমান, একই বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. অরুণা বিশ্বাস, চৌধুরী মুফাদ আহমেদ ও জাবেদ আহমেদ।
ততসূত্র: স/কা
- মাস্টার্স শেষ পর্ব পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ
- এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট কোর্স- ইংলিশ, চাইনিজ, আরবি, ফ্রেঞ্চ
- বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল-বিজ্ঞপ্তি
- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর
- খুবির ৬ষ্ঠ সমাবর্তন ২২ ডিসেম্বর
- জবির সমাবর্তন ১১ জানুয়ারি
- জবিতে শূন্য আসনে ভর্তির সাক্ষাৎকার শুরু ২০ ডিসেম্বর
- রাবিতে আন্তর্জাতিক ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু বৃহস্পতিবার
- অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু ১৩ জানুয়ারি; মাস্টার্স রিলিজ স্লিপ আবেদন শুরু ১৯ ডিসেম্বর
- ডিজিটাল মেলা-২০২০ উপলক্ষে টেলিকমিউনিকেশন দফতরের রচনা প্রতিযোগিতা
- ঢাকা পলিটেকনিকে জানুয়ারি-জুন’২০ সেশনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি শুরু
- জেএসসি-পিইসির ফল বছরের শেষ দিন
- ৪০তম বিসিএস: লিখিত পরীক্ষা ৪-৮ জানুয়ারি
- তিতুমীর কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের নিবন্ধন শেষ আজ
Submit Your Comments: