চিকনগুনিয়ায় আক্রান্তদের জন্য ফিজিওথেরাপিস্ট পাঠানোর কথা ভাবছেন মেয়র

আলোচনা সভায় মেয়র সাঈদ খোকন

চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের ফোন পেলে ফিজিওথেরাপিস্ট পাঠানোর কথা ভাবছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর কলাবাগানের স্কলারস ইনের সেমিনার কক্ষে এক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং ল্যাবএইডের যৌথ উদ্যোগে ‘চিকুনগুনিয়া: সচেতনতা’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসি মেয়র।

আলোচনা সভায় সাঈদ খোকন বলেন, ‘প্রয়োজনে আক্রান্তদের ব্যথা নিরাময়ে ফিজিওথেরাপিস্ট পাঠানো হবে। যদিও আমরা অফিশিয়ালি ঘোষণা দেইনি, তবে খুব শিগগির অন কলে ফিজিওথেরাপিস্ট পাঠানোর ব্যবস্থা চালু হবে।’

মেয়র বলেন, ‘অনেকেই ধারণা করছেন, চিকুনগুনিয়া মহামারী আকার ধারণ করেছে। এটা আসলেই ঠিক নয়, চিকুনগুনিয়া রোগীদের পরিসংখ্যান শুরু করতে হবে শূন্য দশমিক থেকে।’

সাঈদ খোকন আরো বলেন, ‘আমরা নগরবাসীর মন থেকে ভীতি ও আতঙ্ক দূর করতে চাই। এ লক্ষ্যে কিছু কাজও শুরু করেছি। যার ফলে সপ্তাহখানেকের মধ্যে চিকুনগুনিয়া আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে। আপনারা শুনে আশ্বস্ত হবেন গত সাতদিনে এই রোগে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা খুবই নগণ্য।’

যদিও মেয়রের এই তথ্যের সঙ্গে উপস্থিত অতিথি ও দর্শকরা একমত পোষণ করেননি।

স্বাগত বক্তব্যে স্টেট ইউনির্ভাসিটি অব বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ডা. এ এম শামীম বলেন, ‘এক লাখ লোকের মধ্যে ১৫ জন আক্রান্ত হলে এবং সেই অবস্থা টানা দুই সপ্তাহ চললে তাকে মহামারী বলা যায়। সে হিসাবে চিকুনগুনিয়া মহামারী আকার ধারণ করেনি। তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আমাদের নাগরিকদেরও আরো সচেতন হতে হবে। আমরা আমাদের চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে এডিস মশাবাহিত এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।’

শিক্ষা সংক্রান্ত খবরাখবর নিয়মিত পেতে রেজিস্ট্রেশন করুন অথবা Log In করুন।

Account Benefitআলোচনা অনুষ্ঠানে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. খাজা নাজিম উদ্দিন বলেন, চিকুনগুনিয়া রোগটির সরাসরি চিকিৎসা না থাকলেও এর উপশমগুলোর চিকিৎসা রয়েছে। জ্বর হলেই সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন না করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, জ্বর হলে অন্তত তিন থেকে চারদিন অপেক্ষা করুন এবং এরপর চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিন।

আরেক চিকিৎসক ডা. সমীরণ কুমার সাহা তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘মহামারী আকার ধারণ না করলেও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনা এরই মধ্যে ঘটেছে।’

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন গাইনি বিশেষজ্ঞ মরিয়ম ফারুকী স্বাতী।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের জার্নালিজম, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিস বিভাগের উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক রুবায়েত ফেরদৌস।

অনুষ্ঠানের শুরুতে চিকুনগুনিয়া বিষয়ক একটি পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির পাবলিক হেলথ বিভাগের অধ্যাপক ডা. নাওজিয়া ইয়াসমিন। অনুষ্ঠানে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
More detail about
State University of Bangladesh