৩ বছরের তুলনায় কারিগরিতে এবার পাশের হার কম

কারিগরি শিক্ষা বোর্ড

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পাসের হার ও জিপিএ-৫ গত ৩ বছরের তুলনায় এ বছর কমেছে। গত বছরের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে প্রায় চার হাজার।

প্রকাশিত ফলে দেখা যায়, এ বছর পাসের হার ৮১ দশমিক ৩৩। ২০১৬ সালে পাসের হার ৮৪ দশমিক ৫৭ এবং ২০১৫ সালে এ হার ছিল ৮৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ২০১৪ ও ২০১৫ সালেও পাসের হার ছিল ৮৫ শতাংশের ঘরে। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ হাজার ৬৬৯ জন। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৫৮৭ জন।এ বছর পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি দুটিতেই এগিয়ে মেয়েরা। এ বছর ১ হাজার ৬৬৬ মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে। অন্যদিকে ১ হাজার ৩ ছেলে জিপিএ-৫ পেয়েছে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ বছর এইচএসসি (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা), এইচএসসি (ভোকেশনাল) এবং ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স শিক্ষাক্রমে সারা দেশে ১ হাজার ৬৯৯টি ইন্সটিটিউট থেকে ৯৭ হাজার ১৪ শিক্ষার্থী চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে পাস করেছে ৭৮ হাজার ৯০৪ জন। পাসের হার ৮১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এইচএসসি ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায় ৮৮ হাজার ৭২১ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৭৩ হাজার ৭২১ জন। পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৯ শতাংশ। এইচএসসি ভোকেশনালে অংশগ্রহণ করেছে ৮ হাজার ৩৮ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৪ হাজার ৯৪৯ জন, পাসের হার ৬১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এছাড়া ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পাঠ্যক্রমে ২৫৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। পাস করেছে ২৩৪ জন। পাসের হার ৯১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় ২০১৩ সালে পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ০৩ শতাংশ, ২০১৪ সালে ৮৫ দশমিক ০২ শতাংশ, ২০১৫ সালে ৮৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ, ২০১৬ সালে ৮৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং এ বছর ৮১ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

শিক্ষা সংক্রান্ত খবরাখবর নিয়মিত পেতে রেজিস্ট্রেশন করুন অথবা Log In করুন।

Account Benefitএ বছর পাসের হারে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে। এ বছর ছেলেদের পাসের হার ৭৯ দশমিক ৩৭ ভাগ এবং মেয়েদের ৮৬ দশমিক ১১ ভাগ। এছাড়া জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতেও এগিয়ে মেয়েরা। এ বছর ১ হাজার ৬৬৬ মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে। অন্যদিকে ১ হাজার ৩ ছেলে জিপিএ-৫ পেয়েছে।

এদিকে প্রকাশিত ফলে কোনো আপত্তি থাকলে আজ থেকে শুরু করে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে টেলিটক মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে নির্ধারিত ফি দিয়ে আবেদন করা যাবে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রকৌশলী সুশীল কুমার পাল জানান, নির্ধারিত সময়ের পর কোনো আবেদন বিবেচনা করা হবে না।