• Study in USA with University of Minnesota
  • Abudharr Ghifari College | Online Admission
  • Alltender
  • call for advertisement
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটিতে উপ-উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেছেন প্রফেসর ড. শেখ মামুন খালেদ এস ইউতে উচ্চ শিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিঃ অধ্যক্ষের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ১০১ তম জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত উন্নয়নশীল দেশের মযার্দায় উত্তরণে জাতিসংঘের সুপারিশ লাভে প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘জীবিকা চাঁদপুর-৩ প্রকল্প’ উদ্বোধন ঢাকা চেম্বার আয়োজিত ‘শিল্প-শিক্ষাখাতের সমন্বয়; নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত’ শীর্ষক ওয়েবিনার মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার লক্ষ্যে গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে দুই দিনব্যাপী ওয়ার্কশপ কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে হচ্ছে আন্তর্জাতিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম দ্বিতীয় দিনে চলচ্চিত্র ও ডিজিটাল মিডিয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন চলচ্চিত্র ও ডিজিটাল মিডিয়া নিয়ে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২০২১ এর শুভ উদ্বোধন For Advertisement Call Us @ 09666 911 528 or 01911 640 084 শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা নিতে ও এডু আইকন ফোরামে যুক্ত হতে ক্লিক করুন Career Opportunity at Edu Icon: Apply Online চায়নায় স্নাতকোত্তর লেভেল এ সম্পূর্ণ বৃত্তিতে পড়াশুনা করতে যোগাযোগ করুন: ০১৬৮১-৩০০৪০০ | ০১৭১১১০৯ ভর্তি সংক্রান্ত আপডেট খবরাখবর এর নোটিফিকেশন পেতে ক্লিক করুন আবুজর গিফারী কলেজে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে অনলাইনে ভর্তির জন্য যোগাযোগ-০১৭১৯৪৮১৮১৮ All trademarks and logos are property of their respective owners. This site is not associated with any of the businesses listed, unless specifically noted.
  • PSL| Higher Study in India

শিক্ষাবাণিজ্য বনাম আলোকিত মানুষ

Md. Atikur Rahman | September 03, 2018
প্রতিকী ছবি

প্রতিকী ছবি

শিক্ষা হলে ব্যক্তির জীবনব্যাপী ক্রমবিকাশের অবিচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া। শিক্ষার প্রকৃত অর্থ হচ্ছে জীবন শক্তির সত্যিকারে ছাঁচ নির্মান ও সুন্দর নৈতিক চরিত্রের বিকাশ সাধন। শিক্ষা অর্জনের প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে মৌলিক নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করা। শুধু জ্ঞান, কর্মদক্ষতা ও কৌশল অর্জন নয় নিজেকে চরিত্রবান, নির্লোভ ও পরোপকারী ও আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাই হচ্ছে শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য।

জাতির আশা-আকাঙ্খার বাস্তবায়ন এবং ভবিষ্যৎ সমাজ নির্মানের হাতিয়ার হচ্ছে এই শিক্ষা। শুধু তাই নয়, সুনাগরিক সৃষ্টি এবং সমাজের প্রগতিশীলতা বিকাশের ক্ষেত্রেও শিক্ষার রয়েছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা।

যদিও শিক্ষা অর্জনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সুন্দর ও নৈতিক চরিত্রের বিকাশ সাধন ও মানব কল্যাণ। কিন্তু বর্তমানে আমাদের দেশে শিক্ষার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মনে হয় চাকুরির বাজারে নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তোলা। আর এ জন্যই বর্তমানে পড়াশোনার মূল উদ্দেশ্য হলো পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করা তা যে ভাবেই হোক না কেন? নকল করে, প্রশ্নপত্র ফাঁস করে, ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র চড়া মূল্যে কিনে, শিক্ষকের সাথে সুসম্পর্ক সৃষ্টি করে, কোচিং সেন্টারের সহযোগিতা নিয়ে, বাড়িতে স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে তা যে ভাবেই হোক না কেন ভাল ভাবে রেজাল্ট করাটাই তাদের শিক্ষার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। যখন দেখি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থী বিসিএস পরীক্ষায় ফার্স্ট চয়েস দেয় পুলিশ বা কাষ্টমস এ। তার মানেই ধরে নেওয়া যায় এই ধরনের চাকুরীতে তার ঢোকার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে রাতারাতি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে কিভাবে অধিক ধনবান হওয়া যায়। এই যদি হয় সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ থেকে পড়ুয়া একজন শিক্ষার্থীর মনোভাব আর অন্যদের কথা নাই বললাম। কিন্তু শিক্ষা অর্জনের মূল বিষয়বস্তু তো এটা হতে পারে না। শিক্ষার প্রাথমিক উদ্দেশ্য আদর্শিক। বর্তমানে আলোকিত ও পরোপকারি মানুষ হবার জন্য কেউ লেখা-পড়া করছে এমন পাওয়াটা বিরল। তথাকথিত বর্তমানে আমাদের দেশে যে শিক্ষিত শ্রেণী গড়ে উঠছে তারা আসলে নৈতিক আর্দশ বর্জিত সত্যিকারের আর্দশ ও আলোকিত মানুষ নয়। বর্তমানে অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার নামে যে শিক্ষাবাণিজ্য চলছে এবং পত্রপত্রিকায় যেসব লেখালেখি হচ্ছে তা রীতিমত ভীতিকর। প্রতিকারে সংশ্লিষ্টদের আরো অধিক সচেতন ও নজরদারী বাড়াতে হবে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে নিয়ন্ত্রণে শিক্ষামন্ত্রণালয় ও ইউজিসিকে আরো অধিক কঠোর হতে হবে। বিশেষ করে স্বজনপ্রীতি ও দলীয় মনোভাব ত্যাগ করতে হবে। বর্তমানে দেশে উচ্চ শিক্ষার বিপ্লব হতে যাচ্ছে এ কথা সত্য তবে মানে ঘাটতি আছে। শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকার ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে যা আমাদের মনে আশার সঞ্চয় করেছে। বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান নিয়ন্ত্রণে অ্যাক্রোডিটেশন কাউন্সিল হতে যাচ্ছে যা ইতিবাচক। এটা বাস্তবায়ন হলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে পূর্বের চাইতেও শিক্ষাখানে বাজেট বরাদ্দ বাড়লেও শিক্ষা বিভাগের দুর্নীতি বন্ধে সংশ্লিষ্টদের কার্যকরী ভুমিকা পালন করতে হবে।

বর্তমানে আমাদের দেশে যে হারে কোচিং সেন্টার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে এবং সাইন বোর্ডে ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশ ছেয়ে গেছে তার মুলে রয়েছে শিক্ষা ক্ষেত্রে এক শ্রেণী ব্যবসায়ীক ও পুঁজিবাদী শ্রেণীর বিকাশ।

সরকার যদিও কোচিং বাণিজ্য বন্ধের ঘোষনা দিচ্ছে কিন্তু এখন অধিকাংশ স্কুল ও কলেজে এই বাণিজ্য অব্যাহত আছে যা দুঃখজনক। এ ব্যাপারে অভিভাবকদের আরো অধিক সচেতন হতে হবে। যদিও একথা সত্য, পুঁজিবাদী ও ব্যবসায়িক শ্রেণী বিকাশের ফলে অন্যান্য সামগ্রীর মত শিক্ষাও আমাদের সমাজে পন্য হিসাবে পরিনত হয়েছে। গত কয়েক দশক ধওে প্রচুর মুনাফা অর্জনের আশায় আমাদের দেশে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ নামমাত্র বাড়ীভাড়া নিয়ে সাইনবোর্ড লাগিয়ে ব্যাঙের ছাতার মত বেসরকারী স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলেছে। তারা শিক্ষার নামে শিক্ষা বানিজ্য, ভুয়া সার্টিফিকেট বিক্রি, শিক্ষার্থী ভর্তি বানিজ্য, একই স্কুলে শ্রেণী উর্ত্তীণ শিক্ষার্থীদের প্রতি শ্রেণী প্রতিবছর নতুন করে ভতির, স্বজনপ্রীতিসহ নামি-দামি কিছু বিষয়ে অর্নাস ও এমবিএ ডিগ্রী প্রদানের নামে আমাদের দেশের দারিদ্র্য জনগোষ্ঠির কাছ থেকে লাখ-লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আর এ ব্যাপারে বিশ্ব পুঁজির প্রতিনিধিত্বকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও বিদেশী ব্যাংকসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান এই কাজে মোড়লগিরি করছে। তথ্য মতে, বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার বিধি অনুযায়ী আন্তর্জাতিক মূক্ত বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অন্যান্য পণ্যের মত শিক্ষাকেও অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার দোহা সম্মেলনে শিক্ষাকে বাণিজ্যিক পণ্যে পরিনত করা হয়েছে। শিক্ষায় পুঁজিবাদীদের বিকাশের ফলে শিক্ষার প্রকৃত আর্দশ, মূল্যবোধসহ নীতি নৈতিকরার বিষয়গুলি উপেক্ষিতই থেকে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বর্তমানে শিক্ষাকে চাকুরী পাওয়ার পুঁজি হিসাবেই গ্রহণ করছে। শিক্ষার্থীরা চাকুরী নামের সোনার হরিণের দ্রুত সন্ধান পওয়ার জন্য যেসব সাবজেটে পড়ার আগ্রহ প্রকাশ করছে বাজারেও সেইসব সাবজেটে পড়ার ক্ষেত্রে চড়ামূল্য হাকানো হচ্ছে। সেইক্ষেত্রে মানবিক বিদ্যাগুলি উপেক্ষিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে সৃষ্টি হচ্ছে শহর ও গ্রামের শিক্ষাপদ্ধতির মধ্যে ভয়াবহ বৈষম্য। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষেরা তাদের সন্তানদের পড়াশুনা করাতে বর্তমান বাজারে হচ্ছে সর্বোশান্ত। আমরা আসলে আমাদের দেশের জন্য কোন ধরণের মানুষ গড়তে চাচ্ছি বা তাদেরকে আমরা কি ধরণের শিক্ষা দিতে চাচ্ছি তা এখন পর্যন্ত পরিস্কার হচ্ছে না। আমাদের দেশের ধনী ব্যক্তিরা তাদের সন্তানদেও যেখানে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াচ্ছে, মধ্যবিত্ত পড়াচ্ছে বাংলা মাধ্যমে এবং নিম্নও দারিদ্র্য শ্রেণীর ব্যক্তিরা পড়াচ্ছে মাদ্রাসায়। আবার অধিক ধনীরা তাদের সন্তানদেও পড়াচ্ছে বিদেশে। ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত শিক্ষার্থীরা নৈতিকতায় না হোক তারা চাকুরী বাজারে এগিয়ে থাকচ্ছে কারণ ইংরেজির গুরুত্ব বেড়েছে সর্বত্র পুঁজিবাদেও ভাষা ও তথ্য প্রযুক্তি প্রসার হওয়ার কারণে। তাই পুঁজিবাদী ও ব্যবসায়িকরা আমাদের সন্তানদের এমন এক অসম প্রতিযোগিতায় টেনে নিয়ে যাচ্ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত আয়ের ব্যক্তিরা তাদের সন্তানদের নৈতিক আর্দশবান করে গড়ার প্রচেষ্টায় না হোক চাকুরির প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার মত উপযোগী করে গড়ে তুলতে বর্তমান বাজারে হিমসিম খাচ্ছে। বর্তমানে এইরূপ পরিস্থিতি শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধ ও আর্দশবান হিসেবে গড়ে তোলাটা কঠিন হয়ে পরেছে। মূলতঃ এমন নীচু নৈতিকতার শিক্ষা দিয়ে উন্নত মানবসম্পদ তৈরী করা যায় না। দেশ ও জাতির কল্যাণ সাধন করা যায় না। তাই মূলবোধের এই অবক্ষয় রোধকল্পে আমাদের দেশের ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে তাদের সাধ্যের মধ্যে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্টদের সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কেননা আমরা জাতিকে যতই সামাজিক, রাজনৈতিক, নাগরিক ও ধর্মীয় কর্তব্যবোধ সম্পর্কে উপদেশ বানী শোনাই না কেন, তার কোনটিই কাজে আসবে না, যদি না এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে সাধ্যের মধ্যে উপযুক্ত শিক্ষার মাধ্যমে তাদের নৈতিক মূল্যবোধ, আদর্শবান, পরোপকারি ও আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে না পারি। সেইলক্ষ্যেই সকলকে কাজ করতে হবে যা হবে জাতির জন্য অধিক মঙ্গলজনক।

শিক্ষা সংক্রান্ত খবরাখবর নিয়মিত পেতে রেজিস্ট্রেশন করুন অথবা Log In করুন।

Account Benefit
অপরদিকে আজকে যখন দেখি, বিশ্ববিদ্যালয়ের একশ্রেণীর শিক্ষার্থীরা মেধাচর্চা বাদ দিয়ে কালোটাকা উপার্জনের জন্য ছাত্র রাজনীতির নামে হোস্টেলের সিটদখন, টেন্ডারবাজি, চাঁদা আদায় করতে গিয়ে সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বন্ধ করে জিম্মি দশায় উপনিত করে, তখন শিক্ষিত নামের সেইসব ছাত্রের প্রতি আমাদের অন্যরকম দৃষ্টিভঙ্গি ও বিরক্তরোধ সৃষ্টি হয়। যদিও এখানে একটি বিষয় লক্ষণিয়, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে যে ছাত্ররাজনীতি হয় তাতে মেধাবী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নেই বলেই চলে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা মূলত রাজনীতি করে তাদের অধিকাংশই হয়তো ফেলকরা, নয়তো পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলা অথবা মাদবকাসক্ত। তারা ভাল করেই জানে তাদের এই শিক্ষা দিয়ে সমাজে দ্রুত প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব হবে না।
তাই তারা মেধাচর্চা বাদ দিয়ে অন্য একটি পথ খুঁজে পায়, যে পথে তারা দ্রুত টাকার মালিক হতে পারে আর তাহলো তাদের দলীয় রাজনীতিতে যোগ দেয়া। মূলত: এই রাজনীতিই সন্ত্রাসের রাজনীতি। কারণ এই পর্যায়ে অস্ত্র হাতে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা কিংবা চাঁদা তোলা বা জোঁরজবর দস্তিমূলক কাজ করাই হলো তাদের রাজনীতির পরিধি। যা কাম্য নয়।

দেশের শিক্ষাঙ্গন গুলোকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাত্রদেরও রাজনীতির ওপর থেকে তাদের নিয়ন্ত্রণ তুলে নিতে হবে। যদি এদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ছাত্র রাজনীতির সর্ম্পক ছিন্ন করা যায় তবে ছাত্র রাজনীতি থেকে সন্ত্রাস দূর হয়ে সেই জায়গায় গঠনমূলক রাজনীতি স্থান করে নিবে। যদিও একথা আজ হলফ করে বলা যায়, দেশের সর্বপ্রকার সন্ত্রাস দূর করে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে পারে একমাত্র রাজনৈতিক নেতারাই। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মানসিকতার পরিবর্তন ও সদিচ্ছাই পারে শিক্ষাঙ্গণগুলোকে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের হাত থেকে রক্ষা কওে সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে। অবশ্য বাংলাদেশে বর্তমানে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে এতে কেনো রাজনৈতিক দলই ছাত্র রাজনীতি থেকে নিজেদের সর্ম্পক ছিন্ন করার মত সৎ সাহস দেখাতে পারবে কিনা তা নিয়ে বেশ সংশয়ের অবকাশ রয়েছে।

এদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক নেতাদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা আপনাদের ভিতওে লুকিয়ে থাকা সেই সৎ মানুষটাকে জাগিয়ে তুলুন এবং সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যমুক্ত একটি সুন্দর শিক্ষাঙ্গণ শিক্ষার্থীদের উপহার দিন। যা শিক্ষাঙ্গণে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ আনায়ণে অধিক জরুরী।

তাই দেশের শিক্ষা ব্যবসায়িক, পুঁজিবাদী ও রাজনীতিবিদদের কাছে আমাদের উদাত্ত আহবান আপনারা শিক্ষাঙ্গণগুলোকে দলীয় রাজনীতির কুপ্রভাব থেকে রক্ষা করুণ পাশাপাশি শিক্ষাঙ্গণগুলোকে রাজনৈতিক কর্মকান্ডের উর্ধ্বে রাখুন। অপরদিকে নিজেদেও হীনস্বার্থে এবং ক্ষুদ্র লাভে শিক্ষাকে পণ্যকরুন বা বানিজ্যিকীকরণ করুণ মূলত: যাই করুন না কেন, শিক্ষার্থীদের চাকুরী প্রদানের শিক্ষা দানের পাশাপাশি তাদেরকে নৈতিক মূল্যবোধ, আর্দশবান, নিলোর্ভ ও পরোপকারি করে গড়ে তুলুন যাতে তারা দেশ, জাতি তথা সর্বোপরি মানব কল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে পারে এবং একজন সত্যিকারের আলোকিত মানুষ হিসেবে সমাজে গড়ে উঠতে পারে। যা হবে দেশ ও জাতির জন্য অধিক কল্যাণময়।

  • call for advertisement
Submit Your Comments:
  • call for advertisement
  • ADDRESSBAZAR | YELLOW PAGE
  • call for advertisement
  • call for advertisement
  • call for advertisement
  • call for advertisement
  • call for advertisement